ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের ভাবনহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বের বাস্তু জমির খাজনার তথ্য রেজিস্টার বহিতে না উঠানোর অভিযোগ জানিয়েছেন মাগুরা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকরাম হোসেন ইকরাম। বুধবার ৩১ জুলাই দুপুর ১ টার সময় ভাবনহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় খাজনার তথ্য বহিতে উঠে নাই। জমির ওয়ারেশ সূত্রে মালিক সাংবাদিক আকরাম হোসেন ইকরাম জানান, বড়খড়ী মৌজার ৪০১ খতিয়ানের ১৮৮২ দাগের ৫৯ শতক বাস্তু জমির মালিক আমার পিতা মৃত পাঞ্জু মোল্লা পিং- মৃত কানাই মোল্লা। গত ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল তারিখে উক্ত জমির ওয়ারেশ সূত্রে মালিক মোহাম্মদ আলী, ইকরাম হোসেন, ওলিয়ার মোল্লা, আকাম মোল্লা, মরিয়ম বিবি ও জাহিদা খাতুন খাজনা আলাদা আলাদা ভাবে করা হয়েছে। উক্ত দাগের মধ্যে থেকে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ফোন কোম্পানির কাছে ৯ শতক জমি বিক্রি করা হয়। কিন্তু খাজনার তথ্য জানতে চাইলে প্রথমে ভাবনহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নায়েব জানায় আপনারা এই জমির খাজনা দেন নাই। এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন ও ২০১৪ সালের খাজনা রশিদ দেখালে তিনি হতভম্ব হয়ে যান।
এবিষয়ে ভাবনহাটি ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ শওকত আলী জানান, আমি এখানে দুই বছর হলো দায়িত্ব নিয়েছি, এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তিনি খাজনা বহি বের করে দেখেন উক্ত স্থানে ফাঁকা রহিয়াছে, এরপর তিনি খাজনার রশিদ দেখে বহিতে ১০ বছর পরে তথ্য লেখেন। গোপন সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে নায়েব ছিলেন আরজ আলী।
Leave a Reply